যারা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করবেন কিংবা হাতে পাননি তাদের জন্য সুখবর





নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ত্রুটিপূর্ণ জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কারণে নানা ধরনের সেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে নাগরিকদের। এ অবস্থায় এনআইডির তথ্য সংশোধন, ভোটার
 
এলাকা স্থানান্তরসহ অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে নাগরিকদের থানা ও উপজেলা অফিস থেকেই সব সেবা দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত দুই পৃষ্ঠার একটি চিঠি সব থানা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সেবা নিয়ে নাগরিক ভোগান্তির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
এমনকি যারা জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো হাতে পাননি তারাও যেন কোন ভোগান্তিতে না পড়ে সেই ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সবকিছুই অতিদ্রুত শেষ করতে হবে।
কাক্সিক্ষত সেবা পেতে মাসের পর মাস ঘুরতে হয় সেবা গ্রহীতাদের। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশনে লাখ লাখ নাগরিকের আঙুলের ছাপ না মেলায় তারাও ভোগান্তিতে পড়েন। এছাড়া নতুন বেতন স্কেলে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করায় জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্য ভুল থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক সরকারি কর্মকর্তা। এমনকি কোথাও কোথাও এ সেবা দিতে টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।



আরও খবর:   পৃথিবীর অনেকেই সঠিকটা বলতে পারেনি, আপনি বলতে পারেন এই লাল গোলটার মধ্যে কি আছে?
 এছাড়া এনআইডি কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে অহরহ। এমন পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ে নির্দিষ্ট সময়ে সেবা দেয়ার নির্দেশনা দিল ইসি। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপজেলা ও থানা অফিসে নতুন ভোটার নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, ভোটার এলাকা স্থানান্তর সংক্রান্ত আবেদনপত্র গ্রহণ এবং এ সংক্রান্ত সেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও প্রযুক্তিগত সুবিধা, এনআইডি এপ্লিকেশন্স এবং বিভিআরএস সফটওয়্যারের প্রয়োজনীয় আপডেট করে আপলোডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


এতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনের তফসিল হলেও যে কোনো আবেদন গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই ওই সব আবেদন প্রক্রিয়া করতে হবে। আবেদনকারীকে প্রাপ্তি রসিদ দিতে হবে এবং ওই রসিদে বিধি মোতাবেক সেবা প্রদানের সম্ভাব্য তারিখ উল্লেখ করতে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, অনলাইনে জমাকৃত আবেদন উপজেলা বা থানা অফিসে জমা হলে তা গ্রহণ করে সাধারণ আবেদনের মতো ওই আবেদনকারীকে সেবা দিতে হবে।